শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাটে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ক্যাশবাক্স থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরটি পরিদর্শন করলেও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার কিংবা চোরকে শনাক্ত করতে পারেনি। এ ঘটনার দিন কয়েক পূর্বে বাজার কমিটির অফিস কক্ষের সামনে থাকা এক চাল ব্যবসায়ীরা দোকানঘর ভেঙে চোরেরা বীরদর্পে ৭ বস্তা চাল ও মসজিদ মার্কেটের আসলে দোকানঘর ভেঙ্গে দু’লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক সাদ্দাম হোসেন জানান, উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশের্^ থাকা তার প্রতিষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় বন্ধ করে বাড়ি চলে যান।
এদিকে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠানটির তালা ভাঙ্গা দেখে সাদ্দামকে খবর দিলে তিনি বাড়ি থেকে ফিরে এসে দেখেন সার্টারে লাগানো দুটি তালা ভেঙ্গে একদল চোর ভেতরে প্রবেশ করে ক্যাশবাক্সের তালা ভেঙ্গে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও স্টোরের ভেতর থেকে সিগারেট, সেমাই, বিস্কুটসহ আরো প্রায় ৭০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। সাদ্দামের অভিযোগ, এ সড়কে বাজারের পাহাড়াদার শিমুলতলা গ্রামের ছোয়াদ মিয়া রাতে পাহাড়াদারের দায়িত্বে ছিল, তাকে খবর দেয়ার পরও সে ঘটনাস্থলে আসেনি বা চুরি হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক কারনে গোপন রেখেছে। অভিযোগ রয়েছে, বাজারে প্রতিমাসেই পাহাড়াদাররা দায়িত্বপালনে তাদের ব্যর্থতার দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রভাবশালীদের মদদে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে মেয়াদ উক্তীর্ণ কমিটি দিয়েই দায়সারাভাবে চলছে বাজার পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম।
তাহিরপুরের বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সেলিম হায়দায় বললেন, বাজারে ৮ জন পাহাড়াদার রয়েছে, চুরি হলে ব্যবসায়ীরা আমাদের জানান, কিন্তু চোর শনাক্ত করতে পারছিনা, এছাড়াও বাজারের কয়েকজন পাহাড়াদারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব্পালনে ব্যর্থতা ও চুরির সাথে সম্পৃক্তকতার অভিযোগ ব্যবসায়ীরা মাঝে মাঝে করে থাকেন বলেও তিনি স্বীকার করেন।
তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই অজয় চন্দ্র দাস চুরির বিষয়টি জেনেছেন বলে এর সত্যতা স্বীকার শুক্রবার বলেন, প্রায়ই বাজারের চুরির ব্যাপারে দু/একজন পাহাড়াদারের জড়িত থাকার অভিযোগ ব্যবসায়ীরাও করে থাকেন, বাজার কমিটির লোকজনকেও বলেছি যে ক’জন পাহাড়াদার দায়িত্বপালনে ব্যর্থ হয়েছে, তাদেরকে দ্রুত পরিবর্তন করে নতুন পাহাড়াদার নিয়োগ করতে।